আ. লীগের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা আসছে

ইফতেখারুল ইসলাম •

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দলটি। বিদ্রোহীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। বিদ্রোহীদের বিষয়ে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে আলোচনা হয়েছে। বিদ্রোহীদের বিষয়ে কঠোর মনোভাব রয়েছে দলটির।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে ভোট হবে মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ি উপজেলার ৩৯ ইউনিয়নে। এর মধ্যে ২২টিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনী মাঠে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। মিরসরাই উপজেলায় ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে ১০ ইউনিয়নে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ছয়টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৯ ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচ ইউনিয়নে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি চার ইউনিয়নেই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১২ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি উপজেলায় একাধিক ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোন অভিযোগ আসছে না। তার অন্যতম কারণ হল বিদ্রোহীদের পেছনে উপজেলা কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের কেউ না কেউ থাকেন। এর মধ্যে অনেক বিদ্রোহী নির্বাচনে জয়লাভও করেন। যেকারণে বিদ্রোহী নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ সংগঠন থেকে আনতে চায় না।

একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে আলাপকালে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেশির ভাগ ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমান চেয়ারম্যানকে প্রার্থী হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেক চেয়ারম্যান তাদের মেয়াদকালে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। এমনকি দলের নেতাকর্মীদের সাথেও সুসম্পর্ক নেই। তবুও তারা মনোনয়ন পেয়ে গেছেন। অপরদিকে, অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন যাদের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাদের ধারণা তারা নির্বাচনে জয়ী হলে দল তাদের ক্ষমা করে দেবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, যারা ইতিপূর্বে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছেন শেখ হাসিনা তাদেরকে এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দেননি। এবারো যারা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চিন্তা-ভাবনা করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।